IQNA

মিয়ানমারে এনএলডির শীর্ষ ছয় নেতা গ্রেপ্তার

15:36 - February 11, 2021
সংবাদ: 2612237
তেহরান (ইকনা): মিয়ানমারের অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত এবং বন্দি নেত্রী অং সান সু চির দল এনএলডির আরো ৬ জন শীর্ষ নেতাকে নৈশ অভিযানে গ্রেপ্তার করেছে সামরিক জান্তা সরকার। এ ঘটনায় মামলা করার প্রস্তুতি নিচ্ছে দলটি।

বুধবার রাতের ওই অভিযানে আটককৃতদের প্রায় সবাই সু চি'র ঘনিষ্ঠ। একইদিন, ইয়াঙ্গুনের বাহান শহরতলী এলাকায় অভিযান চালিয়ে তছনছ করা হয় ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্র্যাসির (এনএলডি) সদর দপ্তর।

একজন হলেন সু চির ঘনিষ্ঠ সহকারী উ কাউ টিন্ত সোয়ে। তিনি সু চি সরকারে প্রতিমন্ত্রী ছিলেন। অপরজন ড. মিয়ো অং। অভ্যুত্থানের নিন্দা জানিয়ে ভিডিও বার্তা দেয়ার পর রাতেই বাসবভন থেকে গ্রেপ্তার হন তিনি।

অন্যান্যরা হলেন মিয়ানমারের মন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ডা. আয়ে জান, রাখাইন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী উ নি পু, কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য উ হুতুন হুতুন হেইন এবং এনএলডির আইনি দলের পরামর্শক উ কাও হো।

গত ১ ফেব্রুয়ারি সামরিক অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত দল এনএলডির তথ্য বিষয়ক নির্বাজী কমিটি জানিয়েছে, সবশেষ এই গ্রেপ্তারের ঘটনায় তাদের কেন্দ্রীয় কমিটির সকল সদস্য ও শীর্ষ নেতারা এখন বন্দি হয়ে গেলেন।

স্বৈরশাসনবিরোধী বিক্ষোভের মধ্যেই তারা আটক হলেন। বিক্ষুদ্ধ জনতা জান্তা সরকারের পদত্যাগ ও সু চি’র মুক্তির দাবিতে দেশজুড়ে বিক্ষোভ করছে। বিক্ষোভ দমনে বলপ্রয়োগ করেও হিমশিম খাচ্ছে জান্তা সরকার।

এর আগে গত মঙ্গলবার মিয়ানমারের পুলিশ বিক্ষোভকারীদের ওপর জলকামান ব্যবহারসহ তাজা গুলিও ছোড়ে। গুলিবিদ্ধ একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। আরো দুজন গুরুতর আহত হয়েছেন বলেও জানা যাচ্ছে।

মঙ্গলবার রাতেই এনএলডির সদর দপ্তরে অভিযান চালানো হয়। তবে তখন সেখানে কোনো নেতাকর্মী ছিলেন না। অভিযানের সময় সদর দপ্তরে ভাঙচুরসহ বেশকিছু নথি ও কম্পিউটার হার্ডড্রাইভ জব্দ করা হয়।

সদর দপ্তরের ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে থাকা এনএলডি নেতা উ সোয়ে উইন জানান, সেনা সদস্যরা অভিযানের সময় দরজা ভেঙ্গে ভেতরে প্রবেশ করে। এরপর তারা সিসিটিভি ক্যামেরাসহ, ভাঙচুর করে কম্পিউটার সার্ভারের যন্ত্রপাতি। তারা দলের চাঁদার রশিদ জব্দ করাসহ সিন্দুক ভেঙ্গে দলীয় কোষাগারের অর্থও লুট করে নিয়ে যায়।

উ সোয়ে উইন বলেন, ‘আমরা এই ন্যাক্কারজনক বেআইনি ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাই। তারা এনএলডির দোষত্রুটি ধরতে এই অভিযান চালিয়েছে।’

সামরিক ও পুলিশের পোশাক পরিহিত ১৫ জন অভিযানে অংশ নেয়। কয়েকজন সাদা পোশাকেও ছিলেন। এব্যাপারে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হয়নি পুলিশ। তবে তারা বলেছে, বিষয়টি তারা তদন্ত করে দেখছে। সূত্র : ইরাবতী

captcha