বার্তা সংস্থা ইকনা: যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন আল-ওয়েফাকের প্রধান শেখ আলী সালমান এবং অন্য দুই নেতা শেখ হাসান সুলতান ও আলী আল-আসওয়াদ। সরকারি কৌঁসুলি তার বিবৃতিতে দাবি করেছেন, “এই তিন ব্যক্তি কাতারের সঙ্গে যোগাযোগ করে বাহরাইনের সাংবিধানিক ব্যবস্থা বা সরকারকে উৎখাতের ষড়যন্ত্র করেছেন।”
আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে তারা আপিল করতে পারবেন। শেখ আলী সালমান অন্য একটি মামলায় চার বছরের কারাদণ্ড ভোগ করছেন। ওই মামলায় তার বিরুদ্ধে বাহরাইনে “বিদ্বেষ” ছড়ানোর অভিযোগ আনা হয়েছে।
তবে বাহরাইনি আদালতের এই রায়ের তীব্র সমালোচনা করেছে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল ও হিউম্যান রাইটস ওয়াচ। তারা বলেছে, বিচারের নামে বাহরাইন সরকারের এই তামাশা দেশটির বিরোধীদের কণ্ঠস্বরকে থমিয়ে দেয়ার অব্যাহত প্রচেষ্টার অংশ।
আগামী ২৪ নভেম্বর বাহরাইনে জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের কথা রয়েছে। এর আগ মুহূর্তে বিরোধীদলীয় নেতাদের বিরুদ্ধে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের রায় দেয়া হলো। ২০১১ সালে পুরো আরব অঞ্চলে যে রাজতন্ত্র ও স্বৈরতন্ত্র-বিরোধী আন্দোলনের জোয়ার সৃষ্টি হয় তার ঢেউ লাগে বাহরাইনেও। সেই আন্দোলনের নেতৃত্বে ছিলেন শেখ সালমান।