IQNA

মহানবীর(সা.) রাহমাতুল্লিল আলামীন হওয়ার দর্শন

22:44 - December 07, 2017
সংবাদ: 2604497
সূরা আম্বিয়ার ১০৭ নম্বর আয়াতে বলা হয়েছে: وَمَا أَرْسَلْنَاكَ إِلَّا رَحْمَةً لِلْعَالَمِينَ (হে নবী!) আমরা তো তোমাকে বিশ্বজগতের জন্য কেবলই রহমত বা অনুগ্রহস্বরূপ পাঠিয়েছি।


বার্তা সংস্থা ইকনা'র রিপোর্ট: মহান আল্লাহ এই আয়াতে বলছেন: ইসলামের নবী (সা.) গোটা মানব জাতির জন্য রহমত এবং তাঁর মিশন শেষ পর্যন্ত বিশ্বরাষ্ট্রের রূপ নেবে।
সৎকর্মশীল ব্যক্তিরা দুনিয়ার প্রচলিত শাসকদের বিপরীতে ব্যক্তিগত বা দলীয় স্বার্থের দিকে ধাবিত হন না, বরং তারা আল্লাহর সৃষ্টির সেবায় এবং সমাজের সর্বস্তরে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় নিয়োজিত থাকেন। তাদের শাসন-ব্যবস্থায় কাফের বা অবিশ্বাসীরাও নিরাপত্তা ও সুখ অনুভব করেন এবং কেউ তাদের ওপর জুলুম করে না।
নবী-রাসূলদের অস্তিত্ব কাফির ও মুমিন সবারই জন্যই রহমতের ওসিলা। কারণ, তারা মহান আল্লাহর ইচ্ছা বা পরিকল্পনা ছাড়া অন্য কিছু বাস্তবায়ন করেন না। আর আল্লাহও তাঁর সব সৃষ্টির প্রতিই করুণাশীল। তিনি তাদের সবারই সৌভাগ্য ও মঙ্গল চান। অবশ্য সব সময়ই একদল মানুষ নিজের সৌভাগ্য ও কল্যাণ বুঝতে এবং সত্যকে মেনে নিতে অক্ষম হয় গোঁড়ামির কারণে। এভাবে তারা ইচ্ছায় ও অনিচ্ছায় নিজের ক্ষতি করেন।
ইসলামের মহান নবী (সা.) মানুষের জন্য যা আল্লাহর পক্ষ থেকে এনেছেন তা তাদের জন্য মুক্তি ও চিরন্তন সৌভাগ্যের মাধ্যম।
হযরত মুহাম্মাদ (সা.) বিশ্বের সব মানুষের জন্যই রাসূল। তিনি বিশেষ কোনো জাতি বা গোত্রের জন্য রাসূল নন। কারণ, ইসলাম ধর্মের শিক্ষা ও কর্মসূচীগুলো বিশ্বজনীন, বিশেষ কোনো অঞ্চলের জন্য সীমিত নয়। শাবিস্তান

captcha