IQNA

যারা কম কথা বলেন তারা বেশী বুদ্ধিমান

13:55 - October 09, 2017
সংবাদ: 2604020
নবীজি (সা.) বলেন, যে ব্যক্তি আল্লাহ এবং আখিরাতের প্রতি বিশ্বাস রাখে তার উচিত ভালো কথা হলে বলবে, অন্যথায় চুপ থাকবে। নবীজি আরও বলেছেন: মুমিন জীবনের বৈশিষ্ট্য হলো তারা অল্প কথা বলবে, বিনা প্রয়োজনে কথা বলা থেকে বিরত থাকবে। হাসি মুখে থাকবে এবং প্রয়োজনে সদালাপ করবে।

বার্তা সংস্থা ইকনা'র রিপোর্ট: «لِسَانُ الْعَاقِلِ وَرَاءَ قَلْبِهِ وَ قَلْبُ الْأَحْمَقِ وَرَاءَ لِسَانِه‏؛ আমিরুল মু’মিনিন হযরত আলী(আ.) বলেছেন, বুদ্ধিমানের জিহ্বা তার কলবের পিছনে, আর আহমক ও বোকাদের অন্তর তাদের জিহ্বার পিছনে লুকাইত।

তিনি আরও বলেছেন: বোকাদের অন্তর তাদের জিহ্বায় আর বুদ্ধিমানদের জিহ্বা তাদের অন্তরে।

বুদ্ধিমান লোকেরা ভেবে চিন্তে পরিণাম বুঝে কথা বলেন, আর বোকা লোকরা কিছু না ভেবে এবং না বুঝেই কথা বলে।

কথা বলার ক্ষেত্রে সতর্ক ও সংযমী হওয়ার নির্দেশ প্রদান করেছে ইসলাম। মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) মুখের হেফাজত ও কথাবার্তায় সংযমী হওয়ার ব্যাপারে বেশ গুরুত্ব প্রদান করেছেন। তিনি নিজেও এ ব্যাপারে বেশ সতর্ক থাকতেন।

হযরত রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, যে ব্যক্তি আমাকে তার জিহ্বা ও লজ্জাস্থানের সঠিক ব্যবহারের তথা হেফাজতের নিশ্চয়তা দিতে পারবে- আমি তাকে জান্নাতের নিশ্চয়তা দিতে পারব।

হযরত রাসূলুল্লাহ (সা.) আরও বলেছেন, কোনো ব্যক্তির মিথ্যাবাদী হওয়ার জন্য এতটুকুই যথেষ্ট- সে যা শুনে তাই (সত্যতা যাচাই না করে) বলে বেড়ায়।

বেশি কথার দ্বারা মানুষ অনেক গোনাহেও লিপ্ত হয়। যেমন মিথ্যা বলা, গিবত করা, নিজের বড়ত্ব প্রকাশ করা, কাউকে অভিশাপ দেয়া, কারও সাথে অহেতুক তর্ক জুড়ে দেয়া, অতিরিক্ত হাসি ঠাট্টা করতে গিয়ে কাউকে কষ্টে দেয়া ইত্যাদি। এর বিপরীতে কম কথা বলার অভ্যাস থাকলে বহু পাপ থেকে নিরাপদ থাকা যায়। তাই কথা যত কম বলা যাই, ততই মঙ্গল। শাবিস্তান
captcha