IQNA

রোজা শুধুমাত্র ধনীদের জন্য, দরিদ্রদের জন্য নয়: অস্ট্রেলিয়ার মুফতি

5:36 - June 02, 2017
সংবাদ: 2603194
আন্তর্জাতিক ডেস্ক: অস্ট্রেলিয়ার স্বনিয়োজিত মুফতি পূর্বে বিরল এবং বিতর্কিত ফতোয়া প্রদানের জন্য শাস্তি পেয়েছিলো সম্প্রতি নতুন এক ফতোয়া প্রদানের মাধ্যমে দাবী করেছে, রোজা শুধুমাত্র ধনীদের জন্য ফরজ করা হয়েছে এবং শরিয়তের এই হুকুম থেকে দরিদ্রদের ব্যতিক্রম করা হয়েছে!
রোজা শুধুমাত্র ধনীদের জন্য, দরিদ্রদের জন্য নয়: অস্ট্রেলিয়ার মুফতি

বার্তা সংস্থা ইকনা: 'ইসলামের জন্য ইসলামী পণ্ডিত' নামক বিশ্ব ইউনিয়নের চেয়ারম্যান, আল আজহারের নির্ধারিত আলেম ও অস্ট্রেলিয়ার স্বনিয়োজিত মুফতি 'মুস্তাফা রাশেদ' ২৭শে মে টেলিভিশনের এক অনুষ্ঠানে দাবী করেছে, রোজা শুধুমাত্র ধনী ও বিত্তবানদের জন্য ফরজ করা হয়েছে। দরিদ্ররা চাইলে রোজা রাখতে পরেন। এই হুকুম ইসলামী শরিয়তের কোথাও ব্যক্ত করা হয়নি এবং পবিত্র কুরআনের বেশ কয়েকবার রমজানের দায়িত্ব ও রোজার শুরু ও সমাপ্তির ব্যাপারে গুরুত্বারোপ করা হয়েছে।

বিতর্কিত এই ফতোয়া প্রদানের পর অস্ট্রেলিয়া বিব্রতকর পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। আমেরিকার "আল হেরাত" চ্যানেলে মুস্তাফা রাশেদ এই বক্তৃতা দিয়েছে।

মুস্তাফা আরও দাবী করেছে, মিশরের অধিবাসী যারা ৫০০ ডলারের নীচে বেতন গ্রহণ করেন, তাদের জন্য রোজা ফরজ নয়।

অস্ট্রেলিয়ার বিতর্কিত এই মুফতি হযরত মুহাম্মাদ (সা.)এর হাদীস উল্লেখ করে বলেছে: দরিদ্র তাদের বলা হয়, যারা নিজের ও পরিবারের এক মাসের ভরণ পোষণ অর্জন করতে সক্ষম নন। এছাড়াও যাদের নিজস্ব বাড়ী এবং বহন (বর্তমানে প্রাইভেট কার) নায়। সুতরাং মিশরে তাদের দরিদ্র বলা যাবে যাদের মাসিক আয় ৫০০ ডলারের কম।

অবশ্য, ৫০০ ডলার মাসিক আয়ের বিষয়টি শুধুমাত্র মিশরের জন্য প্রযোজ্য বলে গণ্য করেছে মুস্তাফা রাশেদ। মাসিক আয়ের পরিমাণ দেশ অনুযায়ী বিভক্ত করতে হবে বলে তিনি জানিয়েছেন।

টেলিভিশনের এই সাক্ষাৎকারে মুস্তাফা আরও জানায়, সিয়ামের (রোজা) উদ্দেশ্য হচ্ছে: দরিদ্রদের খাদ্য দান করা। যদি প্রত্যেক ব্যক্তি একজন মিসকিনকে খাদ্য দেয় তাহলে তার এই কাজ রোজা থাকার থেকেও উত্তম।

পবিত্র কুরআনে রোজার নির্দেশ

মিশরের এই শেখের প্রশ্নে জবাবে জহির করতে হচ্ছে যে, রোজা থাকার ব্যাপারে সূরা বাকারায় সংক্ষেপে ব্যক্ত করা হয়েছে। এছাড়াও অন্যান্য সূরার বেশ কয়েকটি আয়াতে রোজা থাকার ব্যাপারে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

یَا أَیُّهَا الَّذِینَ آمَنُواْ کُتِبَ عَلَیْکُمُ الصِّیَامُ کَمَا کُتِبَ عَلَى الَّذِینَ مِن قَبْلِکُمْ لَعَلَّکُمْ تَتَّقُونَ

হে বিশ্বাসীগণ! রোযা যেরূপ তোমাদের পূর্ববর্তীদের ওপর আবশ্যিক ছিল তেমনি তোমাদের ওপরও তা আবশ্যিক করা হল; হয়ত তোমরা সাবধানী (ও আত্মসংযমী) হবে।

أَیَّامًا مَّعْدُودَاتٍ فَمَن کَانَ مِنکُم مَّرِیضًا أَوْ عَلَى سَفَرٍ فَعِدَّةٌ مِّنْ أَیَّامٍ أُخَرَ وَعَلَى الَّذِینَ یُطِیقُونَهُ فِدْیَةٌ طَعَامُ مِسْکِینٍ فَمَن تَطَوَّعَ خَیْرًا فَهُوَ خَیْرٌ لَّهُ وَأَن تَصُومُواْ خَیْرٌ لَّکُمْ إِن کُنتُمْ تَعْلَمُونَ

(রোযা) গণনায় কয়েকদিন মাত্র। কিন্তু (রোযার দিনগুলোতে) তোমাদের মধ্যে কেউ অসুস্থ হলে বা সফরে থাকলে অন্য সময়ে এ সংখ্যা পূর্ণ করবে। এবং যাদের জন্য রোযা রাখা কষ্টাতীত তারা বিনিময়স্বরূপ একজন দরিদ্রকে খাদ্য দান করবে; এবং যে ব্যক্তি নিজ আগ্রহে কল্যাণের অনুসরণ করবে তা তার জন্য উত্তম হবে। আর রোযা রাখা তোমাদের জন্য কল্যাণকর, যদি তোমরা জান।

iqna


captcha