গতকাল মঙ্গলবার কাবুলের মুহাম্মদ দাউদ খান হাসপাতালে গোলাগুলি ও বিস্ফোরণে অন্তত ১৯ জন নিহত হন। তাঁদের মধ্যে একজন হামিদুল্লাহ। তিনি তালেবানের সশস্ত্র শাখা হাক্কানি নেটওয়ার্কের একজন সদস্য। পাশাপাশি বিশেষ বাহিনী ‘বদরি কর্পসের’একজন কর্মকর্তা ছিলেন। তালেবানের হাতে আফগানিস্তানের পতনের পর এই প্রথম সংগঠনটির শীর্ষ কোনো নেতা হামলায় নিহত হলেন।
তালেবানের গণমাধ্যমের গণমাধ্যমসংক্রান্ত এক কর্মকর্তা জানান, মুহাম্মদ দাউদ খান হাসপাতালে হামলা চালানো হয়েছে—এমন খবর মেলার পর হামিদুল্লাহ ঘটনাস্থলে ছুটে যান। তাঁকে থামানোর চেষ্টা করা হয়। তবে তিনি কথা শোনেননি। পরে জানা যায়, হাসপাতালে হামলাকারীদের সঙ্গে সম্মুখ লড়াইয়ে তিনি নিহত হয়েছেন।
এদিকে গতকালের হামলার দায় স্বীকার করেছে জঙ্গি সংগঠন ইসলামিক স্টেট খোরাসান (আইএস-কে)। হামলার শুরুতে হাসপাতালটির প্রবেশমুখের কাছে বোমা বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। পরে বন্দুকধারীরা হাসপাতাল চত্বরে প্রবেশ করে। এক বিবৃতিতে আইএস-কে জানিয়েছে, হামলায় তাদের পাঁচজন সদস্য অংশ নিয়েছিলেন।
হামলার খবর মেলার পর হাসপাতালের ছাদে একটি হেলিকপ্টারে করে বিশেষ বাহিনীর সদস্যদের মোতায়েন করে তালেবান। তালেবান সরকারের মুখপাত্র জাবিহুল্লাহ মুজাহিদ বলেন, হামলা শুরুর ১৫ মিনিটের মধ্যেই হামলাকারীদের প্রতিহত করা হয়েছে।
গত আগস্টে কাবুলে তালেবান ক্ষমতায় আসার পর থেকে মসজিদসহ বিভিন্ন স্থানে একের পর এক হামলা চালিয়ে আসছে আইএস-কে। এর আগে দেশটিতে ২০১৭ সালে এক হাসপাতালে সন্ত্রাসী হামলায় ৩০-এর বেশি লোক নিহত হন। iqna