ইরাকের চারজন বিশিষ্ট মারজায়ে তাকলিদের মধ্যে তিনি ছিলেন একজন।
আল-নজবা স্যাটেলাইট চ্যানেল বলেছে: নাজাফে আশরাফের অন্যতম মারজায়ে তাকলিদ আয়াতুল্লাহ সাইয়্যেদ মোহাম্মদ সাইদ হাকিম ৮৭ বছর বয়সে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছেন।
ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন
তিনি ইরাকের পবিত্র নগরী নাজাফে জন্মগ্রহণ করেছেন। চতুর্দশ শতাব্দীর অন্যতম শিয়া আলেম সাইয়্যেদ মুহসেন হাকিমের নাতিন।
আয়াতুল্লাহ সাইয়্যেদ মোহাম্মদ সাইদ হাকিমের সংক্ষিপ্ত জীবনী
আয়াতুল্লাহ সাইয়্যেদ মোহাম্মদ সাইদ হাকিম ১৩৫৪ হিজরির ৮ম জ্বিলক্বাদে ইরাকের নাজাফ আশরাফে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা ছিলেন হযরত আয়াতুল্লাহ সাইয়্যেদ মোহাম্মদ আলী তাবাতাবাই হাকিম এবং তার মা ছিলেন মহান সাবিয়া।
শৈশব থেকে তাঁর জ্ঞান অর্জনের প্রতি বিশেষ আকর্ষণ ছিল এবং একারণে তিনি তার পিতার বিশেষ দৃষ্টি আকর্ষণ করেছিলেন।
তিনি তাঁর সম্মানিত পিতা হযরত আয়াতুল্লাহ সাইয়্যেদ মোহাম্মদ আলী তাবাতাবাই হাকিম, আয়াতুল্লাহ মীর্জা সাইয়্যেদ হাসান বাজনুরদী এবং আয়াতুল্লাহ শেখ আব্দুল হুসাইন হিল্লীর নিকটে জ্ঞান অর্জন করেছন। এছাড়াও উসুল এবং ফিকাহ শাস্ত্র আয়াতুল্লাহ শেখ মোহাম্মাদ হুসাইন ইসফাহানী নিকটে অর্জন করেছন।
আয়াতুল্লাহ সাইয়্যেদ মোহাম্মদ সাঈদ হাকিম অল্প বয়সেই অর্থাৎ ১৩৮৮ হিজরি থেকে ফেকহ, উসুল, তাফসির, আখলাক এবং ধর্মতত্ত্বের উচ্চতর ক্লাসের শিক্ষকতা শুরু করেনে। তার ক্লাসে অনেক বিজ্ঞ আলেমগণ অংশগ্রহণ করেছেন। বর্তমানে তার ছাত্ররা বৈজ্ঞানিক ও বুদ্ধিবৃত্তিক মহলে উষ্ণ ছড়িয়ে নাজাফে আশরাফ এবং কোম নগরীসহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে তারা সম্মিলিতভাবে আলোকিত হয়ে উঠেছেন।
তিনি তার ছাত্রদের ধর্মীয় জ্ঞানে দীক্ষিত করা ছাড়াও হাউজায়ে এলমিয়ার উন্নতির জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন।
মরহুম আয়াতুল্লাহ আল-উজমা হাকিম তাকে ফিকাহ শাস্ত্রের এরসের (উত্তরাধিকার) আলোচনা রিয়াজিয়াতের নতুন নিয়ম অনুযায়ী লেখার নির্দেশ দিয়েছিলেন। এছাড়াও তিনি হযরত আমীরুল মু’মিনিন আলী ইবনে আবু তালিবের (আ.)-এর পবিত্র মাজারে কিবলার সঠিক দিক নির্ধারণ করেছিলেন।
তিনি ৪০ খণ্ডেরও অধিক গুরুত্বপূর্ণ বই লিখে গিয়েছেন। iqna