বিভিন্ন আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা ওই কিশোরের মুক্তির দাবি করে আসছিল। ১৭ বছর বয়সে অপরাধের জন্য মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের সামলোচনাও করেছে তারা। তবে সবকিছু পিছনে ফেলে মঙ্গলবার সৌদি আরবের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ওই কিশোরের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার ব্যাপারে একটি বিবৃতি দিয়েছে। আর এসব কারণের জের ধরেই অপ্রাপ্তবয়স্ককে মৃত্যুদণ্ড দিলো সৌদি সরকার।
ওই কিশোরের বিরুদ্ধে রাজতন্ত্রবিরোধী উসকানি এবং শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভে অংশ নেওয়ার অভিযোগ এনেছিল রিয়াদ। এ ছাড়া তার বিরুদ্ধে আরও ভিত্তিহীন নানা অভিযোগ এনেছিল সৌদি সরকার। সৌদি সরকারের ভিত্তিহীন অভিযোগ বলা হয়েছে, মুস্তাফা দেশটির সরকারের বিরুদ্ধে অস্ত্র হাতে তুলে নিয়েছিল, জাতীয় নিরাপত্তা হুমকির মুখে ফেলেছিল, সৌদি নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের হত্যার জন্য একটি সন্ত্রাসী চক্র গড়ে তুলেছিল এবং উসকানি দিয়ে দাঙ্গা-হাঙ্গামা সৃষ্টির চেষ্টা করেছিল।
উল্লেখ্য যে, মোস্তাফাকে যখন আটক করা হয় তখন তিনি নাবালক ছিলেন এবং এই ধরণের অভিযোগ তাঁর বয়সের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়।
মোস্তাফার মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের প্রতিক্রিয়া জানিয়ে সৌদি বিরোধী নেতা ফুয়াদ ইব্রাহিম তার টুইটার অ্যাকাউন্টে লিখেছেন: কাতিফের যুবক মোস্তফা আলে দারউইশকে কল্পিত অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। ২০১১ সালে শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভে অংশ নেওয়া এমন কয়েক ডজন ব্যক্তিকে রাস্তায় গুলি করে অথবা তরোয়ালের আঘাতে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে। iqna