নাগরিকত্ব আইনের বিতর্কিত সংশোধনীর প্রতিবাদকারী ও মুসলিমদের টার্গেট করে গত ২৩ তারিখ থেকে তিনদিনে দিল্লির উত্তর-পূর্বাঞ্চলে চলে নারকীয় তাণ্ডব। মানবতা বিবর্জিত নৃশংস উম্মাদনায় হতাহতের বেশিরভাগই মুসলিম।
এখনও, নালা-নর্দমা থেকে উদ্ধার হচ্ছে হতভাগ্যদের নিথর দেহ। ঘৃণ্য এই কর্মকাণ্ডে প্রত্যক্ষ সমর্থনের অভিযোগ উঠেছে কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে। এর জেরে পাল্টাপাল্টি বাকযুদ্ধে নেমেছেন কেন্দ্রীয় ও আঞ্চলিক দলের শীর্ষ নেতারা। এর ধারাবাহিকতায় সোমবার নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামের সমাবেশ থেকে কেন্দ্রে ক্ষমতাসীন বিজেপির শীর্ষ নেতাদের তীব্র সমালোচনা করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
তিনি বলেন, দিল্লিতে যা ঘটেছে তা অন্যান্য রাজ্যেও ছড়িয়ে দেয়ার অপচেষ্টা চালাচ্ছে-বিজেপি। কথা বলেন বিতর্কিত নাগরিকত্ব আইন আর মুক্তিযুদ্ধের সময় সেখানে যাওয়া বাংলাদেশি শরণার্থীদের নিয়েও।
এদিকে, দিল্লিতে সহিংস তাণ্ডবে ব্যাপক হতাহতের ঘটনায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর পদত্যাগ চেয়ে পার্লামেন্টের বাইরে বিক্ষোভ করেছেন এমপিরা। নেতৃত্ব দেন কংগ্রেস শীর্ষ নেতা রাহুল গান্ধি। এই ইস্যুতে উত্তাপ ছড়িয়েছে পার্লামেন্টের ভেতরেও।
স্পিকার একটি শোক প্রস্তাবে সমবেত নিরবতা পালনের পর কংগ্রেসের পক্ষ থেকে দিল্লির ঘটনায়ও নিরবতা পালনের দাবি উঠলে হট্টগোল শুরু হয়। বিরতির পর দুপুরে অধিবেশন শুরু হলে দিল্লির ঘটনায় প্রধানমন্ত্রী মোদির বক্তব্য এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ’র পদত্যাগের দাবিতে শ্লোগান তোলেন বিরোধী এমপিরা। একই অবস্থা ছিলো রাজ্যসভায়ও।
সরকারের জবাবদিহিতে ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর পদত্যাগের দাবিতে তীব্র হট্টগোলে সমাপ্ত হয় অধিবেশন। দিল্লির ভয়াবহ সহিংসতার ঘটনার ইন্ধনদাতা হিসেবে অভিযুক্ত বিজেপি নেতা কপিল মিশ্রের বিরুদ্ধে ক্ষতিগ্রস্তদের আবেদন অবশেষে গ্রহণ করেছে ভারতের সর্বোচ্চ আদালত। বুধবার এবিষয়ে শুনানি হবে।
সূত্র: gonokantho