IQNA

তাকওয়া অর্জনের প্রধান উপায় আত্মশুদ্ধি

22:44 - August 13, 2017
1
সংবাদ: 2603627
তাকওয়া বা খোদাভীতি অর্জনের প্রধান উপায় হল আত্মশুদ্ধি। আত্মশুদ্ধি হল, অন্তর সংশোধন, খাঁটি করা, পাপমুক্ত করা, কলুষমুক্ত করা। আল্লাহ তায়ালার স্মরণ, আনুগত্য ও ইবাদত ব্যতীত অন্য সমস্ত অন্যায় কাজ থেকে অন্তর পবিত্র রাখাকে আত্মশুদ্ধি বলা যায়। মানুষের আত্মিক প্রশান্তি, উন্নতি ও বিকাশ সাধনের জন্যও আত্মশুদ্ধির প্রয়োজনীয়তা অপরিসীম। আত্মশুদ্ধি মানুষকে বিকশিত করে।


বার্তা সংস্থা ইকনা'র রিপোর্ট: মহান আল্লাহ তায়ালা পবিত্র কুরআনে উল্লেখ করেন, নিশ্চয়ই যে ব্যক্তি আত্মাকে পুতপবিত্র রাখল সেই সফলকাম হবে, আর সে ব্যক্তিই ব্যর্থ হবে যে নিজেকে কলুষিত করবে। (সূরা শামস: ৯-১০)। ইলমে ফিকহ এর সম্পর্ক হচ্ছে মানুষের প্রকাশ্য কার্যকলাপের সাথে। আর অন্তরের অবস্থার সাথে যার সম্পর্ক তাকে বলা হয় তাসাউফ।

কুরআন মাজিদের পরিভাষায় একে বলা হয় তাযকিয়া, হিকমত তথা আত্মশুদ্ধি। আর হাদিস শরিফে যাকে বলা হয় ইরফান যা বান্দার আল্লাহর নৈকট্যপ্রাপ্ত হওয়ার মাধ্যমও বটে। মানবত্মাকে সব ধরনের পাপ পংকিলতা ও অনৈতিক কর্মকান্ড থেকে মুক্ত রাখাই আত্মশুদ্ধির লক্ষ্য।

মানুষের কাজের কারণেই মানুষের অন্তর কলুষিত হয়। সুতরাং আত্মশুদ্ধির প্রধান উপায় হল খারাপ কাজ ত্যাগ করা এবং কুচিন্তা, কুঅভ্যাস বর্জন করা। সদা সর্বদা সৎ কর্ম, সৎচিন্তা, নৈতিক ও মানবিক আদর্শে স্বীয় চরিত্র গড়ে তোলার দ্বারা আত্মশুদ্ধি অর্জন করা যায়।

মহানবী (সা.) বলেছেন: প্রত্যেক বস্তুরই পরিষ্কার করার যন্ত্র রয়েছে। আর অন্তর পরিষ্কারের যন্ত্র হলো আল্লাহর যিকির। অধিক পরিমানে আল্লাহ তায়ালার স্মরণ ও যিকিরের মাধ্যমে অন্তরের কালো দাগ ও মরিচা দূর করা যায়। যিকিরের মাধ্যমে আত্মা প্রশান্ত ও পরিশুদ্ধ হয়। এছাড়াও তওবা ইন্তিগফার, তাওয়াক্কুল, যুহদ, ইখলাস, সবর, শোকর, কুরআন তিলাওয়াত, সালাত ইত্যাদির মাধ্যমেও আত্মশুদ্ধি অর্জন করা যায়।

আর যখনই আত্মশুদ্ধি হবে তখনই তাকওয়া অর্জিত হবে। আমাদের বুঝতে হবে তাকওয়া আসলে কী? তাকওয়া এমন এক শক্তি, যার উপর ভিত্তি করে মানুষ আত্মরক্ষা করে। যেমনি ভাবে কোন মানুষ জ্বলন্ত আগুনে হাত দিবে না, কেননা তার বিশ্বাস রয়েছে আগুনে হাত দিলে পুড়ে যাবে। এটাও তাকওয়া যা আমরা আগুনের ব্যাপারে পোষণ করে থাকি। শাবিস্তান
প্রকাশিত: 1
পর্যালোচনা করা হচ্ছে: 0
প্রকাশযোগ্য নয়: 0
আজ্ঞাতনামা
0
0
আলহামদুলিল্লাহ
captcha