বার্তা সংস্থা ইকনা: হুজ্জাতুল ইসলাম মোহাম্মাদ আলী বলেন, ইমামত ও বেলায়াত এমনই একটি জিনিস যা প্রতিটি মুসলমানের ঈমানের পরিচয়। যদি কেউ সঠিকভাবে ইমাম এবং ইমামতকে গ্রহণ না করে তাহলে তার কোন আমলই আল্লাহর দরবারে কবুল হবে না। সুতরাং প্রতিটি মোমিন মুসলমানের উচিত ইমামত ও বেলায়াতের বিষয়ে সতর্ক হওয়া এবং তা ভালভাবে গ্রহণ করা।
শিয়া-সুন্নি উভয় সূত্রে মুতাওয়াতিরভাবে বর্ণিত হয়েছে যে, যদি কেউ তার যুগের ইমামকে না চিনে মৃত্যুবরণ করে তাহলে সে জাহেলিয়াতের মৃত্যু বরণ করল। অর্থাৎ কাফের অবস্থায় মারা গেল।
শিয়া-সুন্নি নির্বিশেষে আপামর মুসলিম উম্মাহ ঐক্যমত্য পোষণ করে যে , মহানবী (সা.) এর বংশধারার সর্বশেষ ইমাম হচ্ছেন ইমাম মুহাম্মদ আল মাহদী (আ.) ,যিনি শেষ যামানায় আবির্ভূত হয়ে বিশ্বব্যাপী ইসলামী হুকুমত এবং ন্যায়বিচার কায়েম করবেন এবং পৃথিবীর বুক থেকে অন্যায়-অত্যাচার ও শোষণের পরিসমাপ্তি ঘটাবেন । তার আগমন অবশ্যম্ভাবী এবং এতে কোন সন্দেহ নেই । তার আবির্ভাব না হওয়া পর্যন্ত কিয়ামত সংঘটিত হবে না । প্রামাণ্য ও নির্ভরযোগ্য শিয়া-সুন্নি হাদীস গ্রন্থসমূহে মহানবী (সা.) থেকে এতদপ্রসঙ্গে বর্ণিত হয়েছে :
لو لم يبق من الدنیا إلا یوم لبعث الله رجلا مناّ یملأها عدلا کما ملئت جورا
দুনিয়া ধ্বংস হতে মাত্র একদিনও যদি অবশিষ্ট থাকে তাহলে মহান আল্লাহ (ঐ একদিনের মধ্যেই) আমাদের (আহলে বাইতের) মধ্য থেকে এক ব্যক্তিকে অবশ্যই প্রেরণ করবেন যে এ পৃথিবী যেভাবে অন্যায়-অবিচারে পরিপূর্ণ হয়ে যাবে ঠিক সেভাবে ন্যায় ও সুবিচার দিয়ে তা পূর্ণ করে দেবে।(মুসনাদ-ই আহমদ ইবনে হাম্বল ,১ম খণ্ড ,পৃ.৯৯ ,বৈরুত ,দারুল ফিকর কর্তৃক প্রকাশিত)
এই জন্য দোয়া আহদে বর্ণিত হয়েছে «اللهم اجعل من اعوانه و انصاره ؛ হে আল্লাহ আমাদেরকে ইমাম মাহদীর সাথী ও সাহায্যকারী বানিয়ে দিন। আরও বলা হয়েছে:
« والمسارعین الیه ؛ আমাদেরকে ইমাম মাহদীর দিকে ধাবমানকারী বানিয়ে দিন। আরও বলা হয়েছে:
«والمحامین عنه؛ আমাদেরকে ইমাম মাহদীর সাহায্যকারী বানিয়ে দিন।