অন্যদিকে, গুরুদাসপুর জেলায় ডেরা বাবা নানক নামক স্থানে রবি নদীর উপরে প্রশাসনের পক্ষ থেকে অস্থায়ী সেতু নির্মাণ করা হচ্ছে, যাতে নদীর ওপারের লোকজনকে সহজে সেখান থেকে নিয়ে আসা যায়।
নিজেদের বাসা এবং গ্রাম ছেড়ে যাওয়া লোকদের সাহায্য করতে পাঞ্জাব সরকারের পক্ষ থেকে কয়েকটি জেলায় সচিবস্তরের ৬ কর্মকর্তা মোতায়েন করা হয়েছে।
ঘরবাড়ি ছেড়ে অন্যত্র পালিয়ে যাওয়া লোকেরা বলছেন- তারা দ্বিমুখী ক্ষতির মধ্যে পড়েছেন। একে তো ক্ষেতের ফসল ছাড়তে হচ্ছে, অন্যদিকে ঘরও ছেড়ে যেতে হচ্ছে।
সীমান্ত লাগোয়া অমৃতসর, গুরুদাসপুর, পাঠানকোট এবং ফিরোজপুর জেলায় গুরুদোয়ারা থেকে সীমান্তবর্তী এলাকা এই সময় নিরাপদ নয় বলে ঘোষণা করা হয়েছে। ওইসব এলাকার বাসিন্দাদের সেখান থেকে অন্যত্র নিরাপদ স্থানে সরে যাওয়ার আবেদন করা হয়েছে। বিশেষ করে শিশু, নারী এবং সিনিয়রদের সরানোর কথা বলা হয়েছে।
কোনো কর্মকর্তা এ নিয়ে কিছু বলে রাজি হননি এবং ওই এলাকায় সেনাবাহিনীর
কোনো গতিবিধির কথা প্রকাশ্যে আসেনি।
যদিও গুরুদোয়ারার ঘোষণায় লোকজন আতঙ্কিত হয়ে ওই সকল এলাকার রানিয়া, ফিরোজপুর, গুরুদাসপুর প্রভৃতি এলাকা থেকে শিশু এবং নারীদের অন্যত্র আত্মীয়-স্বজন এবং বন্ধুদের বাসায় পাঠিয়ে দেয়া হচ্ছে।
অন্যদিকে, জম্মু-কাশ্মিরে নিয়ন্ত্রণরেখা লাগোয়া বিভিন্ন গ্রামে
বাঙ্কার খুড়ে রাখার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
রাজৌরি-পুঞ্চের ডিআইজি জনি উইলিয়ামস বলেন, ‘সম্প্রতি পাক অধিকৃত পীরপাঞ্জাল পর্বতমালায় সন্দেহজনক গতিবিধি চোখে পড়ায় গ্রামবাসীদের বলা হয়েছে, গোলাগুলির আওয়াজ শুনলেই বাঙ্কারে ঢুকতে।’ গতকালও সীমান্তে গোলাগুলির শব্দ শোনার পরেই নিয়েল, কানজালওয়ান এবং ওয়ানপোরা গ্রামের বাসিন্দারা কাছাকাছি সুড়ঙ্গে ঢুকে আশ্রয় নেন।#