IQNA

মহানবীর জীবনাদর্শ আমাদের চলার পথের দিশা

14:58 - April 20, 2018
সংবাদ: 2605560
পবিত্র কুরআনে বর্ণিত হয়েছে, «لَقَدْ كَانَ لَكُمْ فِي رَسُولِ اللَّهِ أُسْوَةٌ حَسَنَةٌ» নিশ্চয় যারা আল্লাহ ও শেষ দিবসের আশা রাখে এবং আল্লাহকে অধিক স্মরণ করে, তাদের জন্যে রসুলুল্লাহর মধ্যে রয়েছে উত্তম আদর্শ।


বার্তা সংস্থা ইকনা'র রিপোর্ট: মানবতার মুক্তিদূত হযরত মুহাম্মদ (সা.) হলেন সব মানুষের নবী, বিশ্বনবী। জাতি, ধর্ম, বর্ণ, গোত্র, সম্প্রদায়, দেশ-কাল নির্বিশেষে তিনি হলেন সব মানুষের জন্য মহান আল্লাহ প্রেরিত সর্বশ্রেষ্ঠ মহাপুরুষ; যিনি বিশ্বমানবতার জন্য সর্বোত্তম আদর্শের মূর্ত প্রতীকও বটে।

মানবজীবনের সব দিক ও বিভাগে যাঁকে অনুসরণ করলে মহান আল্লাহ তায়ালার নৈকট্য ও ভালোবাসা অর্জিত হবে, তিনি হলেন সেই সর্বোত্তম আদর্শের নমুনা বিশ্বনবী মুহাম্মদ (সা.)।

সূরা আলে ইমরানের ৩১ নম্বর আয়াতে বলা হয়েছে- قُلْ إِنْ كُنْتُمْ تُحِبُّونَ اللَّهَ فَاتَّبِعُونِي يُحْبِبْكُمُ اللَّهُ وَيَغْفِرْ لَكُمْ ذُنُوبَكُمْ وَاللَّهُ غَفُورٌ رَحِيمٌ

হে নবী! আপনি মুসলমানদের বলুন: যদি তোমরা আল্লাহকে ভালবাস, তবে আমার অনুসরণ কর। তাহলে আল্লাহও তোমাদেরকে ভালবাসবেন ও তোমাদের অপরাধ ক্ষমা করবেন। আল্লাহ ক্ষমাশীল ও দয়াময়।

রাসুলের(সা.)নির্দেশ পালন না করে আল্লাহকে ভালবাসার দাবি মোটেই গ্রহণযোগ্য নয়। অন্যদিকে আল্লাহ আমাদেরকে কতটা ভালবাসবেন তা নির্ভর করে আল্লাহর নির্দেশ আমরা কতটা মানি তার ওপর । যারা আল্লাহর নির্দেশ সব সময় পালন করে আল্লাহ তাদের প্রতি ভালবাসার ভুল-ভ্রান্তি ক্ষমা করে দেন এবং আল্লাহর অসীম দয়া ও অনুগ্রহ দিয়ে তাদের ধন্য করেন।

মানুষ ইচ্ছে করলে এমন পর্যায়ে পৌঁছতে পারে যে, ঐ পর্যায়ে তাঁর সন্তুষ্টিই হয় আল্লাহর সন্তুষ্টি এবং তাঁর অনুসরণই হয় আল্লাহর অনুসরণ। যেমন- এ আয়াতে রাসুলের (সা.)আনুগত্য করাকে আল্লাহর আনুগত্য করা বলে উল্লেখ করা হয়েছে।

কাজে কর্মে আনুগত্য প্রকাশ না করে মুখে ভালবাসার দাবি করা অর্থহীন। কাজের মাধ্যমেই প্রত্যেক দাবির প্রমাণ দেখাতে হবে।

রাসুলের (সা.)নির্দেশ আল্লাহর নির্দেশের সমতুল্য এবং আমাদের জন্য তা সত্যের মানদণ্ড । তাঁর নির্দেশ অমান্য করা কুফরির সমান। শাবিস্তান

captcha