IQNA

মহানবীর(সা.) সাথে ইমাম মাহদীর(আ.) সদৃশতা

20:37 - January 15, 2018
সংবাদ: 2604797
ইসলামের সর্বশ্রেষ্ঠ নবী ও মহামানব রাসূল (সা.) এর সাথে ইমাম মাহদীর বেশ কিছু বিষয়ে চমৎকার মিল পাওয়া যায়। মহানবী (সা.) যেমন সর্বশেষ নবী তেমনি ইমাম মাহদী ও সর্বশেষ ইমাম।

মহানবীর(সা.) সাথে ইমাম মাহদীর(আ.) সদৃশতা
বার্তা সংস্থা ইকনা'র রিপোর্ট: ইসলামের সর্বশ্রেষ্ঠ নবী ও মহামানব রাসূল (সা.) এর সাথে ইমাম মাহদীর বেশ কিছু বিষয়ে চমৎকার মিল পাওয়া যায়। মহানবী (সা.) যেমন সর্বশেষ নবী তেমনি ইমাম মাহদী ও সর্বশেষ ইমাম।

মহানবী (সা.)-এর শুভাগমন সম্পর্কে যেমন পূর্ববর্তী নবী বা রাসূলগণ ভবিষ্যৎ বাণী করে গেছেন, তেমনি ইমাম মাহদী (আ.) এর আগমন সম্পর্কেও মহানবী (সা.) এবং পূর্ববর্তী ইমামগণ বাণী রেখে গেছেন।

প্রতিশ্রুত ইমাম মাহদীকে সাধারণত: ‘ইমামুল আসর' বা নির্দিষ্ট সময়ের ইমাম এবং সাহিবুজ্জামান বা জামানার নেতা বলা হয়। জন্মের পর মহানবী (সা.) এর নামেই তার নাম রাখা হয়।

তিনি জন্মের পর থেকে তার শ্রদ্ধেয় পিতা ইমাম আসকারী (আ.) এর প্রত্যক্ষ ও বিশেষ তত্ত্বাবধানে ছিলেন। স্বৈরশাসকের হুমকির কারণে ইমামে মাহদীর (আ.) জন্মের খবর গোপন রাখা হয়েছিল।

কারণ আব্বাসীয় শাসকরা ইমামের বংশ ধারকে ধ্বংস করে ফেলার জন্য প্রতিহিংসা পরায়ণ হয়ে হন্যে হয়ে খুঁজছিল। বাড়ি বাড়ি তল্লাশি করে খুঁজে বের করার জন্য ওরা গোপন ঘাতক বাহিনী লেলিয়ে দিয়েছিল। তাই স্বয়ং আল্লাহ তা'আলা শিশু ইমামকে শয়তানের হাত থেকে রক্ষা ও সুরক্ষিত রেখেছিলেন।

উপনামের ক্ষেত্রে মিল: উপনাম, আবুল কাসেম। হযরত আবু সাঈদ খুদরী (রহ.) থেকে বর্ণিত হয়েছে হযরত মুহাম্মদ (সা.) বলেছেন “মাহদীর নাম আমার নামেই” অনুরূপ ভাবে হযরত আলী (আ.) থেকে বর্ণিত হয়েছে “মুহাম্মদ” মাহদীর নাম। (বোরহান ফি আলামতে মাহদী আখেরী যামান, মুত্তাকী হিন্দি, ৩য় অধ্যায় হাদিস নং ৮,৯)

মহানবীর(সা.) কোন ছায়া ছিল না, ইমাম মাহদীরও(আ.) কোন ছায়া থাকবে না। হাদিসে বর্ণিত হয়েছে: «وَ لاَ یَکُونُ لَهُ ظِلٌّ» ইমাম মাহদীরও(আ.) কোন ছায়া থাকবে না।

চারিত্রিক মিল বা সাদৃশ্য: তার অবয়বের বর্ণনা দিতে গিয়ে উল্লেখ করা হয়েছে যে, তিনি চেহারা ও আচরণের দিক থেকে আল্লাহর রাসূলের (সা.) সাদৃশ্য। তার চেহারা হচ্ছে উজ্জ্বল এবং তার ডান চিবুকে রয়েছে একটি কালো তিল, দাঁতগুলো পরস্পর হতে বিচ্ছিন্ন এবং তার চেহারায় একটি বিশেষ চিহ্ন রয়েছে...

নিষ্পাপ মাসূম বা পবিত্রতার দিক থেকে সাদৃশ্য, এ সম্পর্কে পবিত্র কুরআনের সূরা আহযাবের ৩৩ নং আয়াতে বর্ণিত হয়েছে: « قَالَ اللهُ تَعَالَی: اِنَّمَا یُرِیدُ اللهُ لِیُذْهِبَ عَنْکُمُ الرِّجْسَ اَهْلَ الْبَیْتِ وَ یُطَهِّرَکُمْ تَطْهِیراً.»

আল্লাহ কেবল চান যে, হে আহলে বাইত! তোমাদের হতে সর্ব প্রকারের কলুষ দূরে রাখতে এবং তোমাদের সম্পূর্ণরূপে পবিত্র রাখতে।

আর ইমাম মাহদীও(আ.) আহলে বাইতের একজন অন্যতম সদস্য। যিনি শেষ জামানায় আবির্ভূত হয়ে পৃথিবীকে ন্যায়নীতিতে পরিপূর্ণ করবেন।

captcha